বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে ছাত্র সংগঠনগুলির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার প্রচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডের বাসায় গভীর রাতে পুলিশের উপস্থিতি এবং ১২ জন ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
ঘটনার পটভূমি:
১১ মার্চ ২০২৫ তারিখে 'ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ' প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচিতে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মসূচি চলাকালীন পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যা পরবর্তীতে উত্তেজনার সৃষ্টি করে।
মামলা ও গ্রেফতার প্রচেষ্টা:
সংঘর্ষের পরদিন, পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১২ জন ছাত্রনেতার নাম উল্লেখ করা হয়, তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু ও সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহম্মেদ, ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা মহানগরের সভাপতি আল আমিন রহমান প্রমুখ। citeturn0search1
এছাড়া, ১৫ মার্চ গভীর রাতে পুলিশ বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডের বাসায় উপস্থিত হয় এবং তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে। এই ঘটনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং পুলিশের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানায়। citeturn0search0
মির্জা ফখরুলের প্রতিক্রিয়া:
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঘটনাগুলির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, 'ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে যারা সচেতনতা তৈরি করছেন, তাদের সহযোগিতা না করে হয়রানি করা অন্যায়।' তিনি আরও বলেন, 'গভীর রাতে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি রিচার্ডকে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতারের চেষ্টা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য।' citeturn0search2
অন্যান্য রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেলও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, '১২ ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মামলা এবং গভীর রাতে রিচার্ডকে গ্রেফতারের চেষ্টা সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের প্রকাশ।' তারা অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং হয়রানি বন্ধের দাবি জানান। citeturn0search0
উপসংহার:
বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার প্রচেষ্টা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও উত্তপ্ত করছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের উচিত হবে সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা, যাতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় থাকে এবং নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত হয়।
